সংক্ষিপ্ত সময়ের দ্রুত প্রস্তুতি
প্রসঙ্গ : সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষা
:
বিশ্লেষণে : সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী
( Satyajit Chakraborty )
_______________ _______________ _______________ _____
এত দ্রুতগতিতে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এর আগে কেউ শুনেছে কি না সন্দেহ! ১৩ এপ্রিল সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল। আর ২০ মে প্রিলি পরীক্ষা। আজই ঘোষিত হল পরীক্ষার তারিখ। হাতে আছে মাত্র ১৭ দিন। ২ দিন গাড়িতে/ ট্রেনে করে ঢাকায় যাতায়াত আর ক্লান্তিতে চলে যাবে। তার মানে প্রস্তুতির জন্য মাত্র ১৫ দিন সময়। যেখানে অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় রিভিশন দেয়ার জন্য ও ১ মাস সময় থাকে সেখানে মুল প্রস্তুতিই নিতে হবে এই ১৫ দিনে, রিভিশন দুরে থাক!
:
আমি সত্যজিৎ মনে করি যেখানে দুর্যোগ সেখানেই সুযোগ। এই স্বল্প সময়ের অবস্থা দেখে অনেকেই আশা ছেড়ে দিবেন। আবার যারা সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেছেন তারা প্রত্যকে আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী বা এডভোকেট হিসেবে আছেন। তার মানে অনেকের পিছু টান কম। অনেকে হয়তো শুধু পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ আছে বলেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। এতটা সিরিয়াস না। তার উপর অনেক আশাজীবী প্রানী ও এত দ্রুত পরীক্ষার তারিখ শুনে হতাশায় ভুগছেন, অতঃপর আশাও ছেড়ে দিয়েছেন। তার মানে কোয়লিফাই হওয়ার জন্য সিরিয়াস প্রার্থী মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন। এখন মাঠ অনেকটা খালি। এই মুহুর্তে যারা একটু সিরিয়াস হবেন, তাদের খালিমাঠে গোল দেয়ার সুযোগ বেশি।
:
কীভাবে নিবেন প্রস্তুতি?
যেহেতু সময় কম সুতরাং দিনে কমপক্ষে একটা করে টপিক শেষ করতে হবে। তাই এখন উপায় হল বিগত বছরের বা এই বছরের বিসিএস বিশেষ সংখ্যা বইটি ৫ দিনে একবার শেষ করে, ৬ষ্ঠ দিনে পুরোটা রিভিশন দেয়া। জানি এটা অনেক কঠিন কাজ, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সময়ে এর চেয়ে ভাল সাজেশন নাই। এরপর একদিনে বিগত বছরের সহকারী জজ নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্ন বুঝে বুঝে সমাধান করা। পাশাপাশি আইনের বিষয়গুলোর প্রশ্ন কেমন হয় তার ধারনা নেয়া। খেয়াল করবেন, বিগত বছরের প্রশ্নগুলোতে ধারা খুব কম এসেছে শুধু সমস্যার সমধান এসেছে বেশি। অতএব
ধারা মুখস্থ করে ব্রেইন ও সময় কোনটাই নষ্ট করার মানে হয়না। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা অবশ্যই মুখস্থ রাখতে হবে। যেমন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪, ১০৮ সংবিধানের ৪ক, ২২ ইত্যাদি। সময় স্বল্পতার কারনে বিস্তারিত দিতে পারলাম না।
যেমন বিগত বছরের একটি প্রশ্ন দেখুন-
প্রসঙ্গ : সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষা
:
বিশ্লেষণে : সত্যজিৎ চক্রবর্ত্তী
( Satyajit Chakraborty )
_______________
এত দ্রুতগতিতে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ এর আগে কেউ শুনেছে কি না সন্দেহ! ১৩ এপ্রিল সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল। আর ২০ মে প্রিলি পরীক্ষা। আজই ঘোষিত হল পরীক্ষার তারিখ। হাতে আছে মাত্র ১৭ দিন। ২ দিন গাড়িতে/ ট্রেনে করে ঢাকায় যাতায়াত আর ক্লান্তিতে চলে যাবে। তার মানে প্রস্তুতির জন্য মাত্র ১৫ দিন সময়। যেখানে অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় রিভিশন দেয়ার জন্য ও ১ মাস সময় থাকে সেখানে মুল প্রস্তুতিই নিতে হবে এই ১৫ দিনে, রিভিশন দুরে থাক!
:
আমি সত্যজিৎ মনে করি যেখানে দুর্যোগ সেখানেই সুযোগ। এই স্বল্প সময়ের অবস্থা দেখে অনেকেই আশা ছেড়ে দিবেন। আবার যারা সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেছেন তারা প্রত্যকে আদালতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী বা এডভোকেট হিসেবে আছেন। তার মানে অনেকের পিছু টান কম। অনেকে হয়তো শুধু পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ আছে বলেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। এতটা সিরিয়াস না। তার উপর অনেক আশাজীবী প্রানী ও এত দ্রুত পরীক্ষার তারিখ শুনে হতাশায় ভুগছেন, অতঃপর আশাও ছেড়ে দিয়েছেন। তার মানে কোয়লিফাই হওয়ার জন্য সিরিয়াস প্রার্থী মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন। এখন মাঠ অনেকটা খালি। এই মুহুর্তে যারা একটু সিরিয়াস হবেন, তাদের খালিমাঠে গোল দেয়ার সুযোগ বেশি।
:
কীভাবে নিবেন প্রস্তুতি?
যেহেতু সময় কম সুতরাং দিনে কমপক্ষে একটা করে টপিক শেষ করতে হবে। তাই এখন উপায় হল বিগত বছরের বা এই বছরের বিসিএস বিশেষ সংখ্যা বইটি ৫ দিনে একবার শেষ করে, ৬ষ্ঠ দিনে পুরোটা রিভিশন দেয়া। জানি এটা অনেক কঠিন কাজ, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সময়ে এর চেয়ে ভাল সাজেশন নাই। এরপর একদিনে বিগত বছরের সহকারী জজ নিয়োগ পরিক্ষার প্রশ্ন বুঝে বুঝে সমাধান করা। পাশাপাশি আইনের বিষয়গুলোর প্রশ্ন কেমন হয় তার ধারনা নেয়া। খেয়াল করবেন, বিগত বছরের প্রশ্নগুলোতে ধারা খুব কম এসেছে শুধু সমস্যার সমধান এসেছে বেশি। অতএব
ধারা মুখস্থ করে ব্রেইন ও সময় কোনটাই নষ্ট করার মানে হয়না। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা অবশ্যই মুখস্থ রাখতে হবে। যেমন ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪, ১০৮ সংবিধানের ৪ক, ২২ ইত্যাদি। সময় স্বল্পতার কারনে বিস্তারিত দিতে পারলাম না।
যেমন বিগত বছরের একটি প্রশ্ন দেখুন-
>> একটি বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের কত দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন এর জন্য উপস্থাপন করতে হয়?
ক) ৩০ খ) ৬০ গ) ৯০ ঘ) ১২০।
তাহলে দেখুন এখানে ধারা না জানলেও চলবে। অর্থাৎ প্রিলি পরীক্ষায় ধারার চেয়েও মুল বিষয় জানাটাই প্রধান। শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারা মুখস্ত রাখলেই চলবে। বাকিগুলো শুধু ব্যাখ্যা বুঝে পড়বেন, যেন সমস্যার সমাধানটা জানা থাকে।
:
আর কোন কোন আইনগুলো পড়তে হবে তা সিলেবাসে দেয়া আছে। যদি সম্ভব হয় বিগত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও বিসিএস এবং জুডিশিয়ারির সকল প্রশ্ন পড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
ক) ৩০ খ) ৬০ গ) ৯০ ঘ) ১২০।
তাহলে দেখুন এখানে ধারা না জানলেও চলবে। অর্থাৎ প্রিলি পরীক্ষায় ধারার চেয়েও মুল বিষয় জানাটাই প্রধান। শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারা মুখস্ত রাখলেই চলবে। বাকিগুলো শুধু ব্যাখ্যা বুঝে পড়বেন, যেন সমস্যার সমাধানটা জানা থাকে।
:
আর কোন কোন আইনগুলো পড়তে হবে তা সিলেবাসে দেয়া আছে। যদি সম্ভব হয় বিগত ৫ বছরে অনুষ্ঠিত সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও বিসিএস এবং জুডিশিয়ারির সকল প্রশ্ন পড়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।