এদিকে আগামী বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের বর্ধিত মূল বেতনের সঙ্গে কার্যকর হচ্ছে ভাতা সুবিধার অংশ। এ কারণে সরকারের ব্যয় এ খাতে আরও বাড়বে। আসন্ন ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেতন-ভাতায় মোট ৫১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে নতুন বাজেটে বাড়তি ব্যয় দাঁড়াবে ৯ হাজার কোটি টাকা।
জাতীয় বাজেটের বড় একটি অংশ খরচ হয় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা খাতে। বর্তমানে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ মোট বাজেটের ২১ শতাংশ ও জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশ, যা আগে ছিল মোট বাজেট বরাদ্দের ১৮ শতাংশ ও জিডিপির ৩ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, অষ্টম বেতন কাঠামো অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা পুরোপুরি কার্যকর করতে ব্যয় ৫১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। জুলাই থেকে পে স্কেল কার্যকর করা হলেও এ বছরের জানুয়ারিতে বর্ধিত মূল বেতন পান সরকারি চাকরিজীবীরা। এর মধ্যে ছয় মাসের বকেয়া দুই ধাপে দেওয়া হয়েছে, সঙ্গে দেওয়া হয়েছে বৈশাখী বোনাস। এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্ধিত মূল বেতন পাচ্ছেন মার্চ থেকে। তবে এখনও বকেয়া এবং বৈশাখী বোনাস পাননি তারা।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা বর্ধিত মূল বেতনের সঙ্গে চিকিৎসা ভাতা পাচ্ছেন ৭০০ টাকা। আগামী জুলাই মাসে পাবেন এক হাজার ৫০০ টাকা। ৬৫ বছরের বেশি বয়স হলে পাবেন দুই হাজার ৫০০ টাকা, যার পরিমাণ এখন এক হাজার টাকা। এখন শিক্ষা ভাতা ৩০০ টাকা, আগামী অর্থবছরে যা দাঁড়াবে ৫০০ টাকায়। টিফিন ভাতা ১৫০ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। যাতায়াত ভাতা দেড়শ’ টাকার পরিবর্তে হয়েছে ৩০০ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানাচ্ছে, বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীরা বেতনের পাশাপাশি ১৫-১৬ ধরনের ভাতা সুবিধা পান। নতুন পে স্কেলে এসবের বেশিরভাগ ভাতাই বেড়েছে, যা আগামী বাজেটে কার্যকর হবে। এ ছাড়া অষ্টম পে স্কেলে বৈশাখী বোনাস নামে আরও একটি নতুন ভাতা যোগ করা হয়, যা এরই মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীরা হাতে পেয়েছেন।
বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবী, এমপিওভুক্ত শিক্ষক, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ২১ লাখ পেশাজীবী রয়েছেন, যারা নিয়মিত সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন।