মঙ্গলবার (২৪ মে) মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২৬তম বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন গণমাধ্যম কে এ খবর জানিয়েছেন। জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মোতাহের হোসেন।
কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, সামশুল হক চৌধুরী এবং উম্মে রাজিয়া কাজল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ আমন্ত্রণে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: হুমায়ূন খালিদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নতুন জাতীয়করণকৃত স্কুলের শিক্ষার মানে সমতা আনয়ন এবং শিক্ষক সমন্বয়ের উদ্দেশ্যে জনস্বার্থে শিক্ষকদের আন্তঃবদলির কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করারও সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সারা দেশের সকল উপজেলাকে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া গতিশীল করার সুপারিশ করা হয়। তাছাড়া, প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাদানের মান মানসম্মত না হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্যত্র বদলির সুপারিশ করা হয়।
কমিটি নব-নিয়োগকৃত শিক্ষকদেরকে যেসকল বিদ্যালয়ে শিক্ষকসল্পতা বেশী সেসকল বিদ্যালয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষক পদায়নের জোর সুপারিশ করে। তাছাড়া, প্রথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকতর যতœবান হওয়ার সুপারিশ করে।
বৈঠকে মৌলিক স্বাক্ষরতাদান সম্পর্কিত ৪৫২ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় শিক্ষিত বেকার, প্রশাসনের প্রতিনিধি এবং জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়। তাছাড়া, গণশিক্ষা কার্যক্রম বেগবান করার সুপারিশ করা হয়।
কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা ছিলো,এই সময় ইতোমধ্যে প্রায় দুইমাস অতিক্রান্ত হয়েছে নতুন নিয়োগ কিভাবে হবে সেই ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত আজকেও হয়নি,যদি বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী সহ উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছেন এটিও পরীক্ষায় যারা নিয়োগ বঞ্চিত হবেন এবং বিসিএস নন ক্যাডারের যারা নিয়োগ পাবেনা তাদের দিয়ে কিছু শূণ্য স্থান পূরণ করা হবে,সেই হিসেবে নতুন নিয়োগের সম্ভাবনা খুবই কম দেখছেন আবেদন প্রত্যাশীরা।
পোষ্টটি ভালো লাগলে নিচের শেয়ার বাটন থেকে শেয়ার করুন।