১৫৬ জনকে বাদ দিয়ে ৩৪তম বিসিএসের নিয়োগ তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) নেতিবাচক রিপোর্টের কারণেই এ প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে ঘাপলা, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারা এবং মামলার কারণেও কয়েকজন গেজেটভুক্ত হতে পারেননি। এ-সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
গোয়েন্দা সংস্থা কাদের সম্পর্কে নেতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে—জানতে চাইলে এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য অনেকে বাদ পড়েছেন। সতর্কভাবে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে শিবিরসংশ্লিষ্ট প্রার্থীদেরও। বিএনপি সমর্থক পরিবারের প্রার্থীরাও নিয়োগ বৈতরণী পার হতে পারেননি। মামলাজনিত কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও বাদ পড়েছেন।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রত্যয়ন না করায় ১৪ জন বাদ পড়েছেন। এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা নাতি-নাতনি কেউ বাদ পড়েননি। যাঁরা বাদ পড়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হওয়ার পরও তিনি দাবি করেছেন। অনেকে মুক্তিবার্তায় তাঁদের নাম থাকার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এর সপক্ষে প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। ঠিকানাজনিত কারণেও দু-একজন বাদ পড়েছেন। তবে কয়েকজন প্রার্থী সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করেছেন। এ ধরনের দুয়েকটি ঘটনা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী নিজে শুনানি করবেন।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রার্থীদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘ সময় নিয়েছে। এ কারণেই ৩৪তম বিসিএসে নিয়োগ দিতে দেরি হয়েছে। ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৩৪তম বিসিএসের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)।