Updates :
Loading...

জাতীয় সংসদ (House of the Nation) এর বিস্তারিত


বাংলাদেশের আইনসভার নাম- জাতীয় সংসদ (House of the Nation)

জাতীয় সংসদ ভবন কে উদ্বোধন করেন- রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার।

জাতীয় সংসদের প্রতীক- শাপলা


বর্তমান আসনসংখ্যা- ৩৫০টি(সংরক্ষিত মহিলা আসন - ৫০টি)


সরাসরি ভোটে নির্বাচিত আসন - ৩০০টি


জাতীয় সংসদের মেয়াদ- ৫ বছর


সংসদ অধিবেশন আহ্বান, ভঙ্গ ও স্থগিত করতে পারেন- রাষ্ট্রপতি


সংসদ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন আহ্বান করতে হয়


সংসদের দুই অধিবেশনের মধ্যবর্তী সময় সর্বোচ্চ- ৬০ দিন


সংসদ অধিবেশনের কোরাম- ৬০ জন


স্পিকারের অনুমতি ছাড়া সংসদে অনুপস্থিত থাকা যায়- ৯০ দিন


সংসদ ভেঙে গেলে বা মেয়াদে শেষ হয়ে গেলে নির্বাচন দিতে হয়- ৯০ দিনের মধ্যে


জাতীয় সংসদের সভাপতি- স্পিকার


জাতীয় সংসদে কোরাম হয় কত জনে? উত্তঃ 60 জনে।



প্রথম স্পিকার ছিলেন- মোহাম্মদ উল্ল্যাহ


বর্তমান স্পিকার- ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী


মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিল না- ৪র্থ সংসদে


বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এ পর্যন্ত- ২ জন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বক্তৃতা দিয়েছেন (যুগোশ্লাভিয়ার মার্শাল টিটো ও ভারতের ভি ভি গিরি)


কাস্টিং ভোট- স্পিকারের ভোট


অধ্যাদেশ- রাষ্ট্রপতি নিজে যে আইন জারি করেন


সরকারি বিল- মন্ত্রীরা যে বিল উত্থাপন করেন


বেসরকারি বিল- সংসদ সদস্যরা যে বিল উত্থাপন করেন


ফ্লোর ক্রসিং- অন্য দলে যোগদান কিংবা নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দান


বাংলাদেশের সরকার- সংসদীয় পদ্ধতির


সংসদীয় পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপ্রধান- রাষ্ট্রপতি


সংসদীয় পদ্ধতিতে সরকারপ্রধান- প্রধানমন্ত্রী


রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম চলে- রাষ্ট্রপতির নামে


বিদেশী প্রথম জাতীয় সংসদে ভাষণ দেন- যুগোশ্লেভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল জোসেফ টিটো-৩১ জানু, ১৯৭৪ এবং ভারতের প্রেসিডেন্ট ভি.ভি. গিরি-১৮ জুন, ১৯৭৪।


বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নির্বাচিত একজন সদস্য নিজেই নিজের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন, তিনি কে-এডভোকেট আবদুল হামিদ।


নির্বাচন কমিশন কার সমমর্যাদার অধিকারী-সুপ্রীম কোর্ট।


বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার কে-বিচারপতি এম ইদ্রিস।


বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন কমিশনার কে-কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ


নির্বাচন কমিশন একটি-স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান।


“তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল” কবে সংসদে পাশ হয়-২৭ মার্চ, ১৯৯৬।


জাতীয় সংসদ ভবন:


জাতীয় সংসদ ভবন শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ।


ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করা হয় ১৯৬২ সালে ।


ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন আইয়ুব খান ।


জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই-আই-কান ।


স্থপতি লুই-আই-কান যুক্তরাষ্ট্র এর নাগরিক ?


জাতীয় সংসদ ভবন ২১৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত।


নির্মান ব্যয় ১৯৭ কোটি টাকা ।


উদ্বোধন করা হয় ২৮ জানুয়ারি, ১৯৮২ সালে ।


উদ্বোধন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার ।


বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবনে প্রথম অধিবেশন বসে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ সালে ।


বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মানের আগে বাংলাদেশের সংসদ অধিবেশন বসত বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কাযালয়ে ।


বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন ৯ তলা বিশিষ্ট ।


উচ্চতা ১৫৮ ফুট ৮ ইঞ্চি ।


সংসদ কক্ষের উচ্চতা ১১২ ফুট ।


জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্যদের আসন সংখ্যা ৩৫৪ টি ।


সংসদ ভবনে অতিথিদের আসন ৫৬ টি ।


কর্মকর্তাদের আসন ৪১ টি ।


সাংবাদিকদের আসন ৮০ টি ।


দর্শকের আসন ৪৩০ টি ।


বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনে পাশের লেকটির নাম ক্রিসেন্ট লেক ।



প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন- ৭ ই মার্চ, ১৯৭৩ সালে


প্রথম নির্বাচনে আসনসংখ্যা- ৩১৫টি (সংরক্ষিত মহিলা আসন- ১৫টি)


প্রথম সংসদের অধিবেশন বসে- ১৯৭৩ সালে


প্রথম সংসদের স্পিকার- মোহাম্মদ উল্ল্যাহ


সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একমাত্র প্রেসিডেন্ট- জিয়াউর রহমান

প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৩, বাংলাদেশে ৭ই মার্চ ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন লাভ করে যেখানে এগারো জাতীয় সংসদ সদস্য অবাধে ভোটবিহীনভাবে জয় লাভ করে। মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫৪.৯%।

দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৯, বাংলাদেশে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয় লাভ করে; তারা জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২০৭টি আসন লাভ করে। মোট ভোট সংগৃহীত হয়েছিল ৫১.৩%।

তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৮৬, বাংলাদেশে ৭ই মে ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ১,৫২৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহন করে।[২]নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসন নিয়ে জয় লাভ করে। মোট ভোটারের ৬১.১% ভোট সংগৃহীত হয়েছিল।পূর্বের নির্বাচনের বিজয়ী বিএনপি এই নির্বাচনটি বর্জন করেছিল।

চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৮৮ বাংলাদেশে ৩রা মার্চ ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রধান দলই বর্জন করেছিল; যেমন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি,বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ, জাতীয় আওয়ামী পার্টি (মুজাফ্‌ফর) এবং বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জয় লাভ করে, তারা ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৫১টি আসন লাভ করে। মোট ভোটারদের মধ্যে ৫২.৫% ভোট গৃহীত হয়েছিল।

পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯১, বাংলাদেশে ২৭শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগেরনেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ৪২৪জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ ৭৫টি দল থেকে মোট ২৭৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। নির্বাচনে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপিজয় লাভ করে। তারা ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪০টি আসন লাভ করে। মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল ৫৫.৪%।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৯৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল। মোট ভোট গৃহীত হয়েছিল মাত্র ২১%।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনে জয় লাভ করে এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ৩০০টি আসনই লাভ করে।পরবর্তীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন জুনে অনুষ্ঠিত হয়।

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জুন, ১৯৯৬, জুন ১২, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়।[৬] নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগেরনেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ২৮১জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ ৮১টি দল থেকে মোট ২৫৭৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে। উক্ত নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থীরা ০.৬৭% এবং দলীয় প্রার্থীরা ৭৪.৮২% ভোট লাভ করে।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০১, আক্টোবর ১, ২০০১ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে ৪৮৪জন সতন্ত্র প্রার্থীসহ ৫৪টি দল থেকে মোট ১৯৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়। এটি হলো ১৯৯৬ সালে চালু হওয়া তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বিতীয় নির্বাচন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমান।

বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্বাবধায়ক সরকারেরপ্রধান উপদেষ্ঠা ফখরুদ্দীন আহমদ-এর নেতৃত্বাধীন সামরিক সরকারের অধীনে। সামরিক সরকার ২০০৭ সালের শুরুর দিকে জরুড়ি অবস্থা জাড়ি করে যা ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তুলে নেওয়া হয়



দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৪ বাংলাদেশে ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনটি নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এছাড়াও নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় নির্বাচনটি নিয়ে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

Share This Post

Related Articles

Previous
Next Post »

1 comments:

comments
April 16, 2019 at 5:37 AM delete

Thanks to give such important information.carry on.

Reply
avatar