প্রথমবার গত ১৮ মে রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও বর্তমানে সেই রেজিস্ট্রার্ড স্কুল না থাকায় জটিলতা তৈরি হয়। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয়।
পরবর্তীতে গত ২ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি স্পষ্ট করে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সকল রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (সদ্য জাতীয়করণকৃত) শিক্ষকদের শূন্য পদে নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য অনুমোদন প্রদান করা হলো’।
বাংলাদেশ প্রাথমিক প্যানেল শিক্ষক ঐক্যজোটের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, সদ্য জাতীয়করণকৃত স্কুলের কোন পদে নিয়োগ দেওয়া হবে তা উল্লেখ না করায় জটিলতার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্যানেল শিক্ষকদের সমন্বয়কারী রবিউল ইসলাম আরও বলেন, সদ্য জাতীয়করণকৃত ২২ হাজার ৮৮৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম গ্রেডের পদে একজন এবং আগের সরকারি বিদ্যালয়ে প্রায় ৭ হাজার শূন্য পদে নিয়োগ দিলে জটিলতা কেটে যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর জানায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে কোন শূন্য পদে তারা নিয়োগ পাবেন তা চূড়ান্ত হয়নি। শিগগিরই বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।
ভূক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি (নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও কল্যাণ) নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
পরে এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। উচ্চ আদালত রিট পিটিশন ও রিভিউ পিটিশন খারিজ করে নীতিমালা তৈরি করে নিয়োগ দিতে বলায় নিয়োগের উদ্যোগ নেয় মন্ত্রণালয়।
‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১০’ এ ৪২ হাজার ৬১১ জনের মেধাক্রম তালিকা ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণের ঘোষণা দেওয়ার পর সে প্যানেল থেকে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। এখন সেই জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবেন তারা।
প্যানেল শিক্ষক ঐক্যজোটের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, এসব পদে প্রায় ২৫-২৮ হাজার প্রার্থী রয়েছেন।
এর আগে আইনি লড়াইয়ে জেতা ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বাংলানিউজ।