মার্কিন গবেষকেরা বলছেন, সম্ভাবনাময় ওই গ্রহটির ভূপৃষ্ঠে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে আর এটি হতে পারে বাসযোগ্য আরেক পৃথিবী।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-লস অ্যাঞ্জেলসের গবেষকেরা বলছেন, লিরা গ্রহাণুপুঞ্জে অবস্থিত কেপলার-৬২ এফ গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৪০ শতাংশ বড়। গ্রহটির আকারের কারণে এটি পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। এ ছাড়া এখানে সমুদ্র থাকতে পারে।
‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কেপলার মিশন ও গ্রহটির সন্ধান পায়। সূর্যের চেয়ে কিছুটা ছোট ও শান্ত একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে যে পাঁচটি গ্রহ আবর্তন করছে, তাদের মধ্যে কেপলার-৬২ এফ গ্রহটি বাসযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনার দিক থেকে এগিয়ে। তবে গ্রহটির আবহাওয়া ও এর কক্ষপথ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি গবেষকেরা।
গবেষক আওমাওয়া শিল্ডস বলেন, ‘আমরা সেখানে বায়ুমণ্ডলীয় উপাদান খুঁজে পেয়েছি, যা গ্রহটিকে উষ্ণ রাখে এবং ভূপৃষ্ঠে পানির অস্তিত্ব থাকার পক্ষে প্রমাণ দেয়। উপাদানগুলো গ্রহটিকে বাসযোগ্য গ্রহের মর্যাদা দিয়েছে।’
এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ এক্সোপ্লানেটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গবেষকেরা। এ ছাড়া আরও কয়েক হাজার এ তালিকায় রয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র কয়েক ডজন গ্রহকে ‘বাসযোগ্য অঞ্চল’ বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।
সূত্র: প্রথম আলো