ভারতে মাত্র ৭ শতাংশ এমবিএ গ্র্যাজুয়েটরা নাকি চাকরির জন্য উপযুক্ত! হ্যাঁ, এমনই ভয়ঙ্কর একটি তথ্য উঠে এসেছে অ্যাসোচ্যাম-এর সমীক্ষায়। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আইআইএম-এর মতো দেশের সেরা বিজনেস স্কুলগুলিকে বাদ দিলে বাকি স্কুলগুলি থেকে উপযুক্ত কোনও ছাত্রই তৈরি হচ্ছে না।
ভারত জুড়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজারের উপর বিজনেস স্কুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। প্রতি বছরই সেই সব স্কুল থেকে হাজার হাজার ছাত্র পাশ করে বেরোচ্ছে। কিন্তু, তার পর? এই পরের ধাপটাই কিন্তু গোলমেলে। সমীক্ষা বলছে, ওই সব স্কুল থেকে পাশ করা ছেলেমেয়েরা সে ভাবে কাজ জোটাতে পারছে না। আর পারলেও মাত্র ৮-১০ হাজার টাকার চাকরি।
উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর থেকেই অনেক ছেলেমেয়ে উচ্চ স্বপ্ন নিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বেসরকারি বিজনেস স্কুলগুলিতে ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু, নিট ফল শূন্য।
কারণ হিসাবে যেটা বলা হচ্ছে, অন্য এই সব প্রতিষ্ঠানে আইআইএম-এর মতো পরিকাঠামো
নেই। ক্যাম্পাসিং-এর ক্ষেত্রেও সেই একই ছবি। শিক্ষার ধরনও অনেক নিম্ন মানের। ফলে ৭০-৮০ শতাংশ নিয়ে পাশ করেও স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে এই সব ছেলেমেয়েদের।
গত ২ বছরে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা বেঙ্গালুরু, আমদাবাদ, লখনউ, হায়দরাবাদ ও দেহরাদূনে প্রায় ২২০টি বি-স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েকটি বন্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, ২০১১-১২ সেশনের তুলনায় ২০১৫-১৬ সেশনে স্কুলগুলিতে আসনের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। এক জন সাধারণ মাপের ছাত্র ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে এই সব স্কুলগুলিতে ভর্তি হচ্ছে। কিন্তু পাশ করে বেরোনোর পর চাকরি জুটছে মাত্র ৮-১০ হাজারের।
অ্যাসোচ্যাম-এর সেক্রেটারি জেনারেল ডিএস রাওয়াত বলেন, ‘ভারতে উচ্চ শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মাপকাঠির তুলনার অনেক নীচে।’ প্রতি বছর এ দেশ থেকে ১৫ লাখ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র পাশ করে। কিন্তু, তাঁদের মধ্যে ২০-৩০ শতাংশ চাকরি খুঁজে পান না। আবার অনেকে তাঁদের যোগ্যতার তুলনায় ভাল চাকরিও পাচ্ছেন। ফলে একটা ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি হচ্ছে। আর এই ছবিটাও ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ভারতীয় শিক্ষাজগতের ক্ষেত্রে।