সাম্প্রতিক টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমাণসহ ফাঁস করেছে ‘লিকডসোর্স’ নামের একটি ওয়েবসাইট। এটি দাবি করেছে, প্রায় ৩ কোটি ৩০ হাজার আইডির রেকর্ড বেহাত হয়ে গেছে। যাতে রয়েছে ই-মেইল ঠিকানা, ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড। সরাসরি টুইটার থেকে না নিয়ে, মজিলা ফায়ারফক্স অথবা গুগল ক্রোমের মতো ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত ব্রাউজারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো চুরি করা হয়েছে বলে মনে করছে তারা। অথচ টুইটার বলছে, তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থায় নাকি কোনো ধরনের ফাটল দেখা যায়নি।
টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই ইউজারনেম এবং নিরাপত্তা তথ্য যে টুইটারের ত্রুটির জন্য হয়নি, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। আমাদের ব্যবস্থায় কোনো ধরনের ফাটল দেখা যায়নি। আমরা বরং প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’ সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা আরও কিছু হ্যাকিংয়ের ঘটনার মধ্যে আছে, ২০১২ সালে প্রায় ৩৬ কোটি মাইস্পেস অ্যাকাউন্ট এবং ১০ কোটি লিংকডিন অ্যাকাউন্ট হ্যাকের ঘটনা।
এবারের টুইটার হ্যাকের ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই রাশিয়ান নাগরিক বলে জানা গেছে। দেখা গেছে, ১ লাখ ২০ হাজারের বেশিবার ব্যবহৃত হয়েছে ‘১২৩৪৫৬’-এর মতো সহজ এক পাসওয়ার্ড। আবার ইংরেজিতে ‘পাসওয়ার্ড’ শব্দটাকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেছেন প্রায় ১৮ হাজার ব্যবহারকারী!
টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এসব হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটার কারণ এর আগে চুরি যাওয়া লিংকডিন এবং মাইস্পেস আইডির পাসওয়ার্ডই পুনরায় ব্যবহার করা। তাই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষায় টুইটারের পরামর্শ হলো অনন্য এবং শক্ত একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। হ্যাকিংয়ের শিকার ১৫ জন ব্যবহারকারীর চুরি যাওয়া তথ্যের সঙ্গে তাদের প্রকৃত পাসওয়ার্ড মিলিয়ে দেখেই তথ্য চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে লিকডসোর্স।
টুইটারের আস্থা এবং তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাইকেল কোটস এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমরা সকল পাসওয়ার্ডই কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণ করি। প্রাপ্ত তথ্য বিবেচনায় নিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আমরা লিকডসোর্সের সঙ্গে একত্রে কাজ করছি।’
এত বিপুলসংখ্যক টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা সঠিক হোক আর না হোক, অনন্য এবং শক্ত দেখে একটা পাসওয়ার্ড দিতে তো কোনো অসুবিধা নেই। বারবার একই পাসওয়ার্ড না দিয়ে ২ থেকে ৩ মাস পরপর নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাই উত্তম। দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা (এসএমএস কোড) চালু করা গেলে আরও ভালো হয়।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ