রোববার (১৪ আগস্ট) পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলা বিষয়ের জন্য ১১ জন, ইংরেজির জন্য ৯৮ জন, গণিতে ৭৩ জন, সামাজিক বিজ্ঞানে ৪৮ জন, ভৌত বিজ্ঞানে ৪৯ জন, জীব বিজ্ঞানে ৫০ জন, ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ৪৮ জন, ভূগোলে ২৩ জন, চারুকলায় ১ জন, ইসলাম ধর্মে ২৫ জন, কৃষি শিক্ষায় ২৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশের কথা জানানো হয়।
এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরে জুনিয়র কেমিস্ট হিসেবে ২ জন, সহকারী বায়োকেমিস্ট হিসেবে ১ জন এবং পরিদর্শক পদে ৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আ. ই. ম. নেছার উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগ প্রদানের বিষয়ে জারিকৃত নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা-২০১০ এবং সংশোধিত বিধি অনুসারে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
এর আগে গত ১০ আগস্ট ৩৪তম বিসিএসে পদ স্বল্পতায় ক্যাডার পদে নিয়োগ না পাওয়া ৮৯৮ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে পিএসসি।
সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকা পিএসসির ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) পাওয়া যাবে।
৩৪তম বিসিএসের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ হলেও তাদের মধ্যে থেকে দুই হাজার ১৫৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে কমিশন।
পদ শূন্য থাকলেও সে অনুযায়ী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি এবং ক্যাডার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে আসছিলেন নন-ক্যাডার প্রার্থীরা। পরে নন-ক্যাডার পদের জন্য আবেদন করেন তারা।
পিএসসি জানায়, চাহিদা অনুযায়ী ৩৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদানের আগের দিন পর্যন্ত ৩৪তম বিসিএস থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদের জন্য আবেদনকারীদের নিয়োগের সুপারিশ চলমান থাকবে।
চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও যারা ক্যাডার পান না, তাদের মধ্য থেকে ৩১তম বিসিএস থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে পিএসসি।
বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে যারা ক্যাডার পায়নি তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।