আদালতের নির্দেশনা এবং এ মামলায় জয়লাভকারী প্রার্থীদের বাধার কারণে মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, প্যানেলভুক্ত যত প্রার্থী আছেন সবাইকে নিয়োগ দেয়ার। সে অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আদালতের রায়ের চূড়ান্ত কাগজপত্র নিয়ে দেখছি তাতে যারা মামলা করেছে তাদের নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। তাই ওইসব বিদ্যালয়ে শূন্য পদে যে ক’জন নিয়োগ দেয়া যায় আমরা সে ক’জনকেই নিয়োগ দেব। আমাদের করার কিছু নেই।’
এদিকে আদালতে মামলা করে জয়লাভকারী প্রার্থীদের পক্ষে আইনজীবী সিদ্দিকউল্লাহ মিয়া বুধবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডিপিই মহাপরিচালক, পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) এবং সব জেলার ডিসি ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় ও ডিপিই কর্মকর্তারা জানান, ৬ জুন ডিপিই সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে (ডিপিই) প্যানেলে থাকা প্রার্থীদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেয়। এর আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বলেন, প্যানেলে ২৮ হাজার প্রার্থী থাকলেও নানা কারণে বর্তমানে ২৪ হাজার আছেন। আমরা সবাইকেই নিয়োগ দিতে চাই।
মামলকারীদের আইনজীবী সিদ্দিকউল্লাহ মিয়া জানান, আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার আগে ১৫ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বাধ্য। শূন্য পদে নিয়োগের জন্য অফিস আদেশ জারি করে। এ চিঠি পাওয়ার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের শূন্য পদের সংখ্যা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়।