বিসিএস পরীক্ষায় ব্যাপক সংস্কার আনছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। সময় বাঁচিয়ে অল্প সময়ে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। লিখিত পরীক্ষা হবে ৫০০ নম্বরের। কমিয়ে আনা হবে মৌখিক পরীক্ষার নম্বরও।
বর্তমানে বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পর প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পর তৃতীয় ও শেষ ধাপে ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়।
লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি ও বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ২০০ করে ৬০০ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ১০০ করে মোট ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিতে পিএসসির এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়।
৩৭তম বিসিএসের প্রার্থী ছিল দুই লাখ ৪৩ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে আট হাজার ৫২৩ জনকে বাছাই করা হয়েছে এক হাজার ২২৬টি পদের জন্য। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করতেই আট মাস সময় লেগেছে। এই দীর্ঘ সময় প্রার্থীদের পরীক্ষা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ৩৭তম বিসিএসের ফল প্রকাশের প্রত্যাশিত তারিখ হচ্ছে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট।
তাই পরিবর্তন আনতে চাইছে পিএসসি। ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ৫০০-তে নামিয়ে আনা হতে পারে। একই সঙ্গে বিসিএসের বিস্তৃত সিলেবাসও কমিয়ে আনা হতে পারে। বাংলার ওপর নির্ভরতা কমানো হতে পারে।বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইংরেজির ওপর জোর দেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষার নম্বর কমে ৫০০ হলে মৌখিকে তা সর্বোচ্চ ১০০ হতে পারে। খাতা দেখার পদ্ধতিতেও সংস্কার হতে পারে।
বিসিএসসহ প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণির সব চাকরি ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে হয়। অবশিষ্ট ৫৫ শতাংশ চাকরি হয় প্রাধিকার কোটায়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, ১০ শতাংশ জেলা কোটা। প্রাধিকার কোটার কোনো পদ অপূর্ণ থাকলে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়।
(সূত্র: কালের কণ্ঠ)