Updates :
Loading...

৩৬তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি


৩৬তম বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি

==================

by > Shoeb Ahmed

ট্রানজিটের উপর প্রশ্ন থাকবেই

***************************************************************************

ট্রানজিট বলতে বাংলায় পারাপার সুবিধা বুঝায়। ভারত-বাংলাদেশ ট্রানজিট বলতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ভূ-খন্ডেসমুহে বাংলাদেশের উপর দিয়ে লোকবল, যন্ত্র ও পণ্য পারাপারের সুবিধা লাভকেই বোঝানো হচ্ছে।

এ ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত তার পশিচমবঙ্গ বা অন্য যেকোনো প্রদেশ থেকে মালামাল ও পণ্য বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ,নৌপথ, রেলপথ এবঙ স্থলপথ ব্যবহারের মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশের ভূমির উপর দিয়ে শর্ট কার্ট পন্ধথায় দ্রুত লাভজনক ও কৌশলগত সুভিদাজনকভাবে তার স্থলপরিবেষ্টিত বিচ্ছিন্নপ্রায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজেচ্য সহজেই পারাপারের সুযোগ পাবে এবঙ বিনিময়ে বাংলাদেশ লাভ করবে আর্থিক সুবিধা।

ট্রানজিটে ভারতের লাভ:

__________

__ভারতের উত্তর পূর্ভঞ্চলের খনিজ সম্পদ যা ভারতে পশ্চিমাঞ্চল ও অন্যান্য রাজ্যের শিল্পের বিকাশ ও ব্যবহারের অন্যতম উপাদান, তা পরিবহন ও স্তান্তররের জন্য পথ কমে আসবে।

-----------------------------------------------------------------------------

__ ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয অঞ্চলে কোন সমুদ্র বন্দর নেই্ । অথচ এই অঞ্চরে প্রায় ৮০০-৯০০ চা বাগান আছ্ । ভারত এ অঞ্চলের চা রপ্তানী করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। এ অঞ্চলের পন্য অনেক পথ ঘুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বন্দর ব্যবহার করা হয়। এখন তারা বাংলাদেশের চট্রগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার মাধ্যমে ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ হ্রাস করতে সমথ হল্ । এতে বিপুল পরিমান অর্থ সঞ্চয় হবে।-

-------------------------------------------------------------------------------

__আসাম, ত্রিপুরা ম নাগাল্যান্ড,ম মণিপুর, অরুণাচল ও মেঘালয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে ভারতের বৃহত্তম সমৃদ্ধতম বনাঞ্চল। এ বনাঞ্চলের কাঠের চাহিদা সারা ভারতজুড়ে। ট্রানজিটের ফলে ভারত এই পন্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে অনায়সে মাদ্রাজ, মুম্বাইয়ের মত শহরে নিয়ে যেতে পারবে।

-----------------------------------------------------------------------------

---উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতের প্রতি বছর সড়ক,রেল, বিমান রক্ষণাবেক্ষণে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় ট্রানজিট সুবিধার কারণে তারা মাত্র এক-দশমাংস খরচ করে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে।

---------------------------------------------------------------------------

-- ভারতের উলফা, বোড়ো, মনিপুরি বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলাদের হামলা ও নাশকতামূলক আক্রমনে বছর যে পরিমান পন্য নষ্ট হয় তার নিশ্চয়তা বাংলাদেশ ভারতকে দিবে। এতে বিপুল পরিমান অর্ধ লাভ করবে ভারত।

---------------------------------------------------------------------------

--ট্রানজিট সুবিধা নিয়ে ভারত বাংলাদেশের উপর দিয়ে সহজেই সামরিক পারাপারের মাধ্যমে সহজেই যেকোন হামলা বা অস্তিতিশীলতা দমন করতে পারবে। এতে ভারতের সার্বোভৌমত্ব আরো দৃঢ় হবে।

********************

ট্রানজিটে বাংলাদেশের লাভ

______________

--বাংলাদেশ ভারত যে ট্যারিফ, ও ফি সুবিধা দেবে তা থেকে প্রায় ৭০০-১০০০ কোটি টাকা আয় করতে পারবে।

-- বাংলাদেশের রেল, সড়ক, ও নৌ পরিবহন খাত উন্নয়নের জন্য ভারত বিনিয়োগ করবে।

-- বাংলাদেশ ট্রানজিটের সুবিধা নিয়ে ভারত, নেপাল, ভুটান দেশসমূহে পন্য রপ্তানী করতে পারবে।

-- ট্রানজিট সুবিধা কার্যকর হলে বাংলাদেশ সাপটা চুক্তির আওতায় ভারতর উত্তর -পূর্বঞ্চলে বাণিজ্যিক তৎপরতা বিস্তার করতে পারবে। বলা হয়ে ছে এটি কার্যকর হরে বাংলাদেশও লাভজনকভাবে আসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় মিজোরাম অঞ্চলে পন্য রপ্তানী করতে পারবে।

-- ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের আসাম থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে পারবে।

-- বলা হয়ে থাকে ট্রানজিটের কারণে ভারতের চোরাকারবারিরা বাংলাদেশে চোরা চালান কমাবে। ফলে, সরকার শুল্ক পাবে।


Courtesy : Zakir's BCS Specials

Share This Post

Related Articles

Previous
Next Post »