Updates :
Loading...
Showing posts with label তথ্য ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label তথ্য ও প্রযুক্তি. Show all posts

হ্যাকিংয়ের কবলে টুইটার


হ্যাকিংয়ের ঘটনা যেন অহরহই ঘটছে এখন। এই সপ্তাহেই ফেসবুক বাদে টুইটারসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোদ ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের আইডিই হ্যাক হয়ে গেল। জানা গেছে, জাকারবার্গের ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড-যেন ‘ডেসপিকেবল মি’ ছবির মিনিয়নের কণ্ঠের সেই ‘টাডাটাডা’! খবরটি শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল সাধারণ ব্যবহারকারীদের। খুব সম্ভবত ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে ৩ কোটি ২০ হাজারের বেশি আইডির পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকারের দল। আইডিগুলো এখন কালোবাজারে বিক্রিও করা হচ্ছে!

সাম্প্রতিক টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমাণসহ ফাঁস করেছে ‘লিকডসোর্স’ নামের একটি ওয়েবসাইট। এটি দাবি করেছে, প্রায় ৩ কোটি ৩০ হাজার আইডির রেকর্ড বেহাত হয়ে গেছে। যাতে রয়েছে ই-মেইল ঠিকানা, ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড। সরাসরি টুইটার থেকে না নিয়ে, মজিলা ফায়ারফক্স অথবা গুগল ক্রোমের মতো ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত ব্রাউজারের মাধ্যমে এই তথ্যগুলো চুরি করা হয়েছে বলে মনে করছে তারা। অথচ টুইটার বলছে, তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থায় নাকি কোনো ধরনের ফাটল দেখা যায়নি।
টুইটারের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই ইউজারনেম এবং নিরাপত্তা তথ্য যে টুইটারের ত্রুটির জন্য হয়নি, সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। আমাদের ব্যবস্থায় কোনো ধরনের ফাটল দেখা যায়নি। আমরা বরং প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।’ সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় আসা আরও কিছু হ্যাকিংয়ের ঘটনার মধ্যে আছে, ২০১২ সালে প্রায় ৩৬ কোটি মাইস্পেস অ্যাকাউন্ট এবং ১০ কোটি লিংকডিন অ্যাকাউন্ট হ্যাকের ঘটনা।
এবারের টুইটার হ্যাকের ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই রাশিয়ান নাগরিক বলে জানা গেছে। দেখা গেছে, ১ লাখ ২০ হাজারের বেশিবার ব্যবহৃত হয়েছে ‘১২৩৪৫৬’-এর মতো সহজ এক পাসওয়ার্ড। আবার ইংরেজিতে ‘পাসওয়ার্ড’ শব্দটাকেই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেছেন প্রায় ১৮ হাজার ব্যবহারকারী!
টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এসব হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটার কারণ এর আগে চুরি যাওয়া লিংকডিন এবং মাইস্পেস আইডির পাসওয়ার্ডই পুনরায় ব্যবহার করা। তাই অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষায় টুইটারের পরামর্শ হলো অনন্য এবং শক্ত একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা। হ্যাকিংয়ের শিকার ১৫ জন ব্যবহারকারীর চুরি যাওয়া তথ্যের সঙ্গে তাদের প্রকৃত পাসওয়ার্ড মিলিয়ে দেখেই তথ্য চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে লিকডসোর্স।
টুইটারের আস্থা এবং তথ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাইকেল কোটস এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আমরা সকল পাসওয়ার্ডই কঠোর নিরাপত্তায় সংরক্ষণ করি। প্রাপ্ত তথ্য বিবেচনায় নিয়ে ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আমরা লিকডসোর্সের সঙ্গে একত্রে কাজ করছি।’
এত বিপুলসংখ্যক টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা সঠিক হোক আর না হোক, অনন্য এবং শক্ত দেখে একটা পাসওয়ার্ড দিতে তো কোনো অসুবিধা নেই। বারবার একই পাসওয়ার্ড না দিয়ে ২ থেকে ৩ মাস পরপর নতুন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করাই উত্তম। দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা (এসএমএস কোড) চালু করা গেলে আরও ভালো হয়।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

ল্যাপটপের চার্জ খাচ্ছে কে?


ল্যাপটপের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে? আপনার ল্যাপটপে এমন কোনো অ্যাপ নিশ্চয়ই চালু আছে, যা এর জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুগলের ক্রোম ব্রাউজারের কারণেই ল্যাপটপের চার্জ দ্রুত শেষ হয়।




ক্রোম ব্রাউজার যাতে কম মেমোরি ও চার্জ ব্যবহার করে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারে, এ জন্য অনেক চেষ্টা করছে গুগল। এরপরও ল্যাপটপের দ্রুত চার্জ শেষ করার জন্য ক্রোমকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।


যেভাবে সমস্যা দূর করবেন:
১. ট্যাব ও এক্সটেনশন বন্ধ করুন
ক্রোমে যত বেশি ট্যাব ও এক্সটেনশন চালু থাকবে, তত বেশি চার্জ ফুরাবে। অবশ্য সব ট্যাব বন্ধ করার আগে ক্রোমের বিল্ট ইন টাস্ক ম্যানেজার থেকে দেখে নিন কোনো ট্যাব বেশি সিপিইউ ও মেমোরি ব্যবহার করছে। ক্রোমের ইউআরএল বার থেকে হ্যামবার্গার মেনু থেকে মোর টুলস হয়ে টাস্ক ম্যানেজারে যেতে পারেন।

যে এক্সটেনশনটি বেশি চার্জ শেষ করছে, তা হাইলাইট করে এন্ড প্রসেসে ক্লিক করে তা বন্ধ করে দিতে পারেন।

২. ক্রোমের সেটিংসে থাকা হার্ডওয়্যার এক্সসিলেরেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পিসিতে ক্রোমের পারফরম্যান্স বাড়িয়ে নিতে পারেন। সেটিংসটি খুঁজে বের করতে ক্রোমের সেটিংস থেকে শো অ্যাডভান্সড সেটিংসে যান। হার্ডওয়্যার এক্সসিলরেশন বক্সে টিক দিন। ক্রোম রিস্টার্ট দিন।

৩. রিসেট বাটনে ক্লিক করুন
গুগল ক্রোম রিসেট করলে কিছুটা সুফল পাবেন। অ্যাডভান্সড সেটিংস পেজের হার্ডওয়্যার এক্সসিলেরেশনের ঠিক নিচেই এর অবস্থান।

প্রথম আলো

টিমভিউয়ার হ্যাক হয়েছে কি না পরীক্ষা করুন


দূর থেকে সিস্টেমে লগইন করার সফটওয়্যার হিসেবে পরিচিত টিমভিউয়ার সম্প্রতি হ্যাক হয়েছে। যাঁরা এ সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি তাই পরীক্ষা করে দেখা উচিত।

টিমভিউয়ার ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে তাঁদের অ্যাকাউন্ট হ্যাকের কথা বলছেন। এর মধ্যে রয়েছে পিসির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া, ক্ষতিকর ভাইরাস ইনস্টল, অর্থ দাবির মতো অভিযোগ।

টিমভিউয়ারের মুখপাত্র অ্যালেক্স স্মিড হ্যাকিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ জন্য ব্যবহারকারীদের দুর্বল পাসওয়ার্ড দেওয়ার বিষয়টিকেও উল্লেখ করেন তিনি। একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কারণে এ ধরনের হ্যাকিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে টিমভিউয়ার ব্যবহারকারীদের।


টিমভিউয়ার কর্তৃপক্ষের এ বিবৃতি সত্ত্বেও অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করছেন, টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করা থাকলেও হ্যাক হচ্ছে অ্যাকাউন্ট।

কীভাবে বুঝবেন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে? টুল কিট থেকে ওপেন লগফাইল বাটনে যান। সেখানে কানেকশনফার্স্ট নামের ফাইল খুলুন।

সেখানে নিজের আইপি বাদে অন্য কোনো আইপি থেকে লগইন করা আছে কি না, পরীক্ষা করে দেখুন। গুগলের সার্চ থেকে নিজের আইপি খুঁজে পাবেন।

যদি টিম ভিউয়ার হ্যাক হয়
১. টিমভিউয়ার সাপোর্ট টিমকে জানান।

২. পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। জটিল পাসওয়ার্ড তৈরি করে ব্যবহার করুন।

৩. কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার স্ক্যান করুন। এরপর Extras > Options > Security > Personal password গিয়ে পাসওয়ার্ড বদলে নিন।

৪. টু-স্টেপ অথেনটিকেশন চালু করুন। login. teamviewer. com গিয়ে টিমভিউয়ারে লগইন করুন। এরপর Edit profile > General> Activate link > Two factor authentication-এ গিয়ে এ পদ্ধতি চালুর পর সেভ দিন।

৪. আপনার ইউজার অপশন পরিবর্তন করে কম্পিউটার লক করুন। AdvancedOptions > Connections-এ যান। সেটিংস বদলে ফেলুন। আপনার সংযোগ আরও নিরাপদ করতে নির্দিষ্ট টিমভিউয়ার আইডি ঠিক করে দিতে কিংবা নেটওয়ার্কের বাইরের সংযোগ বন্ধ করে দিতে পারেন।

৫. অন্য কোনো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে টিমভিউয়ারের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড একই রকম রাখা ঠিক হবে না।

তথ্যসূত্র: সিনেট

প্রথম আলো

মোবাইলে চার্জ দেওয়ার সময় সাবধান


এত দিন পাবলিক ওয়াই-ফাই স্পটে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করলে হ্যাকিংয়ে আশঙ্কার কথা শুনেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরিচিত কোনো স্থানে মোবাইল চার্জ দিলেও হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিমানবন্দর, ক্যাফে বা কোনো জনবহুল স্থানে ডিভাইসে ইউএসবি চার্জার দিয়ে চার্জ দিলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্মার্টফোন হ্যাক হয়ে যেতে পারে।

সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি ল্যাবের গবেষকেরা বলছেন, দুর্বৃত্তরা ভাইরাস কিংবা থার্ড পার্টির অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে রাখতে পারে, যা কম্পিউটার থেকে ইউএসবি কেবলের মাধ্যমে স্মার্টফোনে চলে যায়। মাত্র তিন মিনিটেই ওই স্মার্টফোন হ্যাক করা হয়ে যেতে পারে।

গবেষকেরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড দুটি প্ল্যাটফর্মেই চার্জিং অবস্থায় ডিভাইসের নাম, নির্মাতা, সিরিয়াল নম্বরসহ অনেক ফাইল চুরি করা যায়।

২০১৪ সালে গবেষকেরা ইউএসবি চার্জার হ্যাকিংয়ের বিষয়টি সম্পর্কে জানালেও প্রমাণ করতে পারেননি। তবে এবারে ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা তা করে দেখিয়েছেন।

ক্যাসপারস্কি ল্যাবের গবেষক অ্যালেক্সি কোমারোভ বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি আছেই। যদি নিয়মিত ব্যবহারকারী হন, তবে ডিভাইস আইডি ধরে ওই ফোনে অ্যাড্রওয়্যার কিংবা র‍্যানসমওয়্যার ভাইরাস ঢোকানো হতে পারে। তবে দুর্বৃত্ত যদি বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে, তবে বড় পেশাদার হ্যাকারদের কবলে পড়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।

ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা বলেন, এ ধরনের হ্যাকিং শেখার জন্য ভালো দক্ষতা থাকতে হয়। ইন্টারনেট ঘেঁটেও অনেক দুর্বৃত্ত এটা করে ফেলতে পারে।


যেভাবে রক্ষা পাবেন
১. অপরিচিত কম্পিউটারের সঙ্গে ইউএসবি লাগিয়ে চার্জ দেবেন না।
২. মোবাইলে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকলে তা ব্যবহার করুন। চার্জ দেওয়ার সময় আনলক করবেন না।
৩. যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করুন।
৪. অ্যান্টিভাইরাস বিরক্তিকর হলেও এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে।
৫. মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ রাখুন। তথ্যসূত্র: টেলিগ্রাফ অনলাইন।

রূপকথার আলোর সন্ধানে


মুঠোফোনে হোক কিংবা কম্পিউটারে এক বা একাধিক ব্যবহারকারী খেলা যায় এমন জাপানি রোলপ্লেয়িং গেমগুলোর সঙ্গে যে গেমারদের পরিচিতি আছে, তাদের কাছে কিংডম হার্টস সিরিজ মোটেই নতুন নয়। এ সিরিজের সর্বশেষ সংস্করণ কিংডম হার্ট আনচেইন্ড। স্কয়ার এনিক্স এবং সাকসেস করপোরেশন গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফসল কিংডম হার্ট আনচেইন্ড। গেমটি প্রথম জাপানের বাজারে ওয়েবে খেলার জন্য ২০১৩ সালের জুলাই মাসে ছাড়া হলেও অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেম চালিত স্মার্টফোনের জন্য বাজারে আসতে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। চলতি বছরের এপ্রিলে গেমটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
কিংডম হার্টস সিরিজ সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। গেমটির কাহিনি মূলত একটি রূপকথার গল্পের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলে, যেখানে একজন বৃদ্ধ তাঁর নাতিকে সবচেয়ে প্রিয় রূপকথার গল্প বলতে থাকেন। তবে কাহিনি থেকে গেমটি পরিচালনা করা বেশ কষ্টসাধ্য বটে। গেমটি খেলতে দক্ষতা তো দরকারই, পাশাপাশি দরকার অশেষ ধৈর্য। অনেক সময় নিয়ে খেলতে হয়। সে যা হোক, গেমারদের প্রশংসা কুড়াতে গেমটির মোটেও সময় লাগেনি। রূপকথার আলো-আঁধারির কাহিনি অবলম্বনে গেমটি এগিয়ে যায়।
-
প্রথম আলো

রাফুর স্বপ্নের ‘আইটিপুর


দিনাজপুর শহরের পলিটেকনিক্যাল কলেজের মোড়ে দাঁড়ালেই পাঁচতলা ভবনের ওপর উঁচু টাওয়ারটা চোখে পড়ে। একটু এগোলে দেখতে পাবেন সাইনবোর্ড। তাতে ইংরেজিতে লেখা ‘রাফুসফট’।
৯ মে সন্ধ্যায় আমরা বসে ছিলাম রাফুসফটের প্রতিষ্ঠাতা এস এম রাফায়েত হোসেনের অফিস ঘরে। তাঁর ডাকনাম রাফু। তথ্যপ্রযুক্তিতে দিনাজপুরের অগ্রগতি, আর এর পেছনের তরুণদের কথা বলতে গিয়ে রাফায়েত হোসেন তখন ভীষণ উত্তেজিত! কখনো নড়েচড়ে বসছেন, কখনো চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। ‘আস্তে ভাই আস্তে, এক এক করে বলেন’—আমরা তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করি।
রাফায়েত হোসেন জানালেন কীভাবে তাঁরা দিনাজপুরকে ‘ডিজিটাল দিনাজপুর’ হিসেবে গড়ে তুলছেন। কেমন করে এই জেলা শহরের নিরিবিলিতে বসে দেশ-বিদেশের নামী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে তাঁর দল। দিনাজপুরেই তাঁরা যেন দেখতে চান ‘আইটিপুর’।
দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের আশপাশের এলাকা, নিমনগর বালুবাড়ি, ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ড...এমন কয়েকটি জায়গায় বিনা মূল্যে তারহীন ওয়াই–ফাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যাবে। সরকারি সহায়তায় এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাফুসফট। রাফায়েত হোসেনের বক্তব্য, ‘ছেলেমেয়েরা ইন্টারনেট ব্যবহার করুক। আগ্রহ তৈরি হোক। এটাই আমাদের চাওয়া।’
সে চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করতে তাঁদের চেষ্টার কোনো অন্ত নেই। ‘শহরের যেকোনো জায়গায় কেউ যদি প্রোগ্রামিং বা কম্পিউটার বিষয়ক কর্মশালা করতে চায়, আমরা লোক পাঠিয়ে দিই। শুধু যাওয়া-আসার খরচটা দেবেন। ব্যস, লোক হাজির,’ বলছিলেন তিনি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি ও গ্রাফিক ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, নেটওয়ার্কিংসহ বেশ কিছু বিষয়ে কোর্স চালু আছে। নির্দিষ্ট ফি দিয়ে যে-কেউ এসব কোর্সে অংশ নিতে পারবেন। বেকার তরুণদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন রাফায়েত। বলছিলেন, ‘এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। আমার প্রতিষ্ঠানেও কেউ কেউ কাজ করছে। ছোট ছেলেমেয়েগুলো যে কী ভালো কাজ পারে, আপনি না দেখলে বিশ্বাস করবেন না।’
বর্তমানে রাফুসফটের কাজের পরিধিটাও বিশাল। অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প অনুমোদিত ওয়েবসাইটগুলোর নিরাপত্তার দিকটি দেখাশোনার দায়িত্ব তাঁদের। এ ছাড়া দেশের বাইরেও বেশ কিছু সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁরা। দেশি-বিদেশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের স্বীকৃতির সনদ ঝুলছে রাফুসফটের অফিসঘরে।
এই সবকিছুর শুরুটা হয়েছিল কোবরা অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে। রাফায়েত হোসেনের হাতেই তৈরি হয়েছিল এই সফটওয়্যার। ছয়–সাত বছর আগে দেশে তৈরি অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এরপর মাইক্রোসফট যখন একের পর এক উইন্ডোজের নতুন সংস্করণ বাজারে আনতে থাকল, তখন নিবন্ধন জটিলতায় অ্যান্টিভাইরাসটির স্বত্ব ভিনদেশি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। রাফায়েত বলছিলেন, ‘কোবরা অ্যান্টিভাইরাসই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। বর্তমানে ভেক্রাস বিডি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান কোবরা নেক্সট জেনারেশন অ্যান্টিভাইরাস নিয়ে আসছে। সোনামণি গার্ড (প্যারেন্টাল কন্ট্রোল) ও কোবরা নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়াল তৈরি করাটাও আমাদের পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।’
এতসব কাজের ভিড়ে রাফায়েত হোসেনের সব ভাবনার কেন্দ্রে সব সময় থাকে দিনাজপুর। বলছিলেন, ‘আমরা তো আর ভ্যাটিকান সিটি বানাতে পারব না। কিন্তু আমাদের শহরের তরুণদের নিয়ে আমরা আমাদের মতো করে দিনাজপুরকে তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে উন্নত একটা শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

সংগ্রহ: প্রথম আলো

জাতিসংঘের টেকনোলজি ব্যাংকে সোনিয়া বশির কবির

সোনিয়া বশির কবির

জাতিসংঘের টেকনোলজি ব্যাংকের গভর্নিং কাউন্সিলে মাইক্রোসফট বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবিরকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য টেকনোলজি ব্যাংকের হয়ে কাজ করবেন সোনিয়া বশির কবির। এলডিসি আওতাভুক্ত দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে টেকনোলজি ব্যাংকে মোট ১২ জন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। সোনিয়া এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন এবং মেধাস্বত্ব—এ দুটি বিভাগ নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এ কাজের জন্য তিনি কোনো সম্মানী পাবেন না। তবে টেকনোলজি ব্যাংকের কাজের জন্য ভ্রমণ এবং আনুষঙ্গিক খরচ জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তি

#প্রথম আলো

আটলান্টিকের নিচে ফেসবুক-মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট কেব্‌ল

ফেসবুক ও মাইক্রোসফট যৌথভাবে আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে উচ্চগতির ইন্টারনেট কেব্‌ল বসানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং গ্রাহকদের দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সুবিধা দিতে ‘এমএআরইএ’ নামের ওই কেব্‌ল বসানোর কাজ ২০১৭ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে।
মাইক্রোসফটের ডেটা সেন্টার পরিকল্পনা বিভাগের ব্যবস্থাপক ক্রিশ্চিয়ান বেলাডি বলেন, বিশ্ব দ্রুত ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের দিকে যাচ্ছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০০টিরও বেশি ক্লাউব সেবার জন্য মাইক্রোসফট ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। ‘এমএআরইএ’ হবে আটলান্টিক অতিক্রম করা সর্বোচ্চ সক্ষমতার কেব্‌ল, যা প্রতি সেকেন্ডে ১৬০ টেরাবাইট পর্যন্ত তথ্য স্থানান্তর করতে পারবে। ৬ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কেব্‌ল সিস্টেম দিয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ ইউরোপ অঞ্চলকে সংযুক্ত করা হচ্ছে। স্পেন থেকে এই ডেটা নেটওয়ার্ক আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের অন্য অংশকে যুক্ত করবে।
ফেসবুক ও মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেব্‌ল বসাতে তারা টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান টেলসিয়াসের সঙ্গে কাজ করছে।
তথ্যসূত্র: এএফপি।

ওরাকলের বিরুদ্ধে জিতল গুগল


বিশ্বের ৮০ শতাংশ স্মার্টফোনচালিত অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারটি নিয়ে ওরাকল ও গুগলের মধ্যেকার লড়াইটি অনেক দিনের। গুগলের বিরুদ্ধে কপিরাইট লঙ্ঘন করে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার তৈরির জন্য ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করেছিল ওরাকল। গত বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায় দিয়েছেন মার্কিন জুরি। রায় গেছে গুগলের পক্ষে। তবে ওরাকল বলছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অনেক কিছুই তাদের কাছে আছে। তারা আপিল করবে।
ওরাকলের আইনজীবী ডোরিয়ান ডালে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মোবাইলের বাজার দখল করার জন্য ওরাকলের কোর জাভা প্রযুক্তি অবৈধভাবে নকল করে অ্যান্ড্রয়েড তৈরি করে গুগল।’
অ্যালফাবেটের অধীনস্থ গুগল কর্তৃপক্ষ মামলায় জয়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এ জয় অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেমের জয়, জাভা প্রোগ্রামিং কমিউনিটির জয়। এ ছাড়া যে সফটওয়্যার নির্মাতারা মুক্ত প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে উদ্ভাবনী গ্রাহকসেবা তৈরি করেন, তাঁদের জয় এটি।

ওরাকল ও গুগলের এই আইনি লড়াইটির দিকে সারা বিশ্বের সফটওয়্যার নির্মাতারা বেশ আগ্রহের সঙ্গে তাকিয়ে ছিলেন।

সূত্র: প্রথম আলো

লেনোভোর আশা পূরণ হলো না


স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষে যাওয়ার আশা নিয়ে গুগলের কাছ থেকে মটোরোলাকে কিনেছিল লেনোভো। কিন্তু মটোরোলা লেনোভোর সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ। সম্প্রতি প্রান্তিক আয় ঘোষণার সময় লেনোভো এই হতাশার কথা বলেছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, গত ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো লোকসানের মুখ দেখল চীনা প্রতিষ্ঠানটি। নতুন প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণ, নতুন করে গোছগাছ করার পাশাপাশি স্মার্টফোন ও পিসির বিক্রি কমে যাওয়ায় লেনোভোর লোকসানের কারণ।
গত মার্চ মাসে বার্ষিক আয়ের হিসাব অনুযায়ী, মোট ১২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার লোকসান হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। গত বছরের এই সময়ে লাভ ছিল ৮ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার।
মটোরোলাকে কেনা, পিসির বিক্রি কমে যাওয়াকে লোকসানের মূল কারণ হিসেবে দেখছে লেনোভো। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় স্মার্টফোনের ব্যবসাকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি।
লেনোভো কর্তৃপক্ষ বলেছে, বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে লেনোভোর স্মার্টফোন বিক্রি দ্বিগুণ হয়েছে। এ সময় ১ কোটি ৯ লাখ লেনোভো স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ৫০ লাখ মটোরোলার ফোন। তবে মটোরোলার এই পারফরম্যান্সে খুশি নয় প্রতিষ্ঠানটি।
সূত্র: প্রথম আলো

আরেক বাসযোগ্য পৃথিবী


এই পৃথিবীর বাইরে কোনো গ্রহে কি প্রাণের সঞ্চার হয়েছে? অজানা এ প্রশ্নের উত্তর দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। খুঁজে পেয়েছেন পৃথিবীসদৃশ বেশ কিছু গ্রহ। সম্ভাবনাময় এই গ্রহের কাতারে যোগ হয়েছে আরও একটি গ্রহ। এর নাম কেপলার-৬২ এফ। এটি পৃথিবী থেকে ১ হাজার ২০০ আলোকবর্ষ দূরে।

মার্কিন গবেষকেরা বলছেন, সম্ভাবনাময় ওই গ্রহটির ভূপৃষ্ঠে তরল পানির অস্তিত্ব থাকতে পারে আর এটি হতে পারে বাসযোগ্য আরেক পৃথিবী।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-লস অ্যাঞ্জেলসের গবেষকেরা বলছেন, লিরা গ্রহাণুপুঞ্জে অবস্থিত কেপলার-৬২ এফ গ্রহটি পৃথিবী থেকে ৪০ শতাংশ বড়। গ্রহটির আকারের কারণে এটি পাথুরে হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। এ ছাড়া এখানে সমুদ্র থাকতে পারে।
‘অ্যাস্ট্রোবায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কেপলার মিশন ও গ্রহটির সন্ধান পায়। সূর্যের চেয়ে কিছুটা ছোট ও শান্ত একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে যে পাঁচটি গ্রহ আবর্তন করছে, তাদের মধ্যে কেপলার-৬২ এফ গ্রহটি বাসযোগ্য হওয়ার সম্ভাবনার দিক থেকে এগিয়ে। তবে গ্রহটির আবহাওয়া ও এর কক্ষপথ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি গবেষকেরা।
গবেষক আওমাওয়া শিল্ডস বলেন, ‘আমরা সেখানে বায়ুমণ্ডলীয় উপাদান খুঁজে পেয়েছি, যা গ্রহটিকে উষ্ণ রাখে এবং ভূপৃষ্ঠে পানির অস্তিত্ব থাকার পক্ষে প্রমাণ দেয়। উপাদানগুলো গ্রহটিকে বাসযোগ্য গ্রহের মর্যাদা দিয়েছে।’
এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ এক্সোপ্লানেটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গবেষকেরা। এ ছাড়া আরও কয়েক হাজার এ তালিকায় রয়েছে। তবে এর মধ্যে মাত্র কয়েক ডজন গ্রহকে ‘বাসযোগ্য অঞ্চল’ বলে ধারণা করছেন গবেষকেরা। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

সূত্র: প্রথম আলো

দ্রুত রক্তচাপ মাপার এক প্রযুক্তি




রক্তের চাপ নির্ণয়ের বর্তমান পদ্ধতিটি যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য হলেও এটি খুব বেশি দ্রুত নয়। আরেকটি দুর্বলতা হলো, এই যন্ত্র দিয়ে রক্তচাপের পরিমাণ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যায় না। নতুন প্রযুক্তি উদ্যোগ (স্টার্টআপ) ‘ব্লুমিও’ এবার নতুন এক উপায়ে রক্তচাপ পরিমাপের চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠানটি এমন যন্ত্র তৈরি করছে, যা হাতের ওপর চাপ না দিয়ে সহজে কম সময়ে নির্ভুল এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে রক্তচাপ মেপে দেবে। এ যন্ত্রে রাডারের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যা বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গের মাধ্যমে রক্তের চাপ পর্যবেক্ষণ করবে।
ব্লুমিওর সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথেরিন লিয়াও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে বাহুবন্ধনীর আকারে এটি বানানোর চেষ্টা চলছে, যা হৃৎপিণ্ডের সমান উচ্চতায় হাতের ওপরের অংশে পরা যাবে। ২০১৭ সালের গ্রীষ্ম বা শরৎকালে যন্ত্রটি বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর দাম ২০০ থেকে ৪০০ ডলারের মধ্যে থাকতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদ্রোগের রোগীদের মধ্যে যাঁরা নিরবচ্ছিন্নভাবে রক্তচাপের পরিমাপ জানতে চান, তাঁদের মধ্যে পণ্যটি ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে আশা করছে এই প্রতিষ্ঠান।






যদি সত্যিই নিখুঁতভাবে এমন এক যন্ত্র উদ্ভাবনে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি, তাহলে এটা হবে জীব-পদার্থবিজ্ঞানের জগতে বড় এক অগ্রগতি। ব্লুমিও এমন এক সেন্সর তৈরি করছে, যা রক্তচাপের গতিপথ বের করতে পারবে। লিয়াও জানান, এই যন্ত্রে দুটি রাডার অ্যানটেনা ব্যবহার করা হবে। এগুলোর কাজ হবে প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের (হার্টবিট) চাপ-তরঙ্গ লিপিবদ্ধ করা এবং দুটি অ্যানটেনার মধ্যবর্তী দূরত্বে তরঙ্গের গতি বিবেচনায় এনে রক্তচাপকে বীজগাণিতিক আকারে রূপ দেওয়া। এরপর রক্তচাপের পরিমাপ এবং হৃৎস্পন্দনের তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে তৎক্ষণাৎ চলে যাবে আইফোনের পর্দায়। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় যন্ত্রটি সময়ের সঙ্গে ব্যবহারকারীর রক্তের চাপের একটা প্রাথমিক ধারণা নিয়ে নেবে। এরপর মাঝেমধ্যে এটি ব্যবহার করে রক্তচাপের পরিবর্তনটা দেখা যাবে।
তবে যন্ত্রটি তৈরির কাজ এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির চিকিৎসা যন্ত্রের স্বীকৃতি চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক রিচ ফ্লেচার জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তির সাহায্যে সর্বোচ্চ নিখুঁত মান পাওয়া না গেলেও রাডার ব্যবহার করে রক্তচাপ নির্ণয়ের দরকারি যন্ত্র তৈরি করা খুবই সম্ভব।
সূত্র: এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ

অন্ধকারে দেখা যাবে



ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছু দেখা অসম্ভব। কিন্তু কৃত্রিম চোখ লাগানো থাকলে অন্ধকারেও সবকিছু পরিষ্কার দেখা যাবে। গলদা চিংড়ি (লবস্টার) ও আফ্রিকান এক জাতের মাছের চোখের সেরা বৈশিষ্ট্যগুলো কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম এই চোখ তৈরি করেছেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন গবেষকেরা।
গবেষকদের দাবি, এই কৃত্রিম চোখ চিকিৎসা, দুর্যোগে অনুসন্ধান ও উদ্ধার, মহাকাশে গ্রহ অনুসন্ধানী টেলিস্কোপে ব্যবহার করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দাবি করছেন, সেন্সর যন্ত্রাংশের পরিবর্তে লেন্সের ভেতর ইমেজিং সিস্টেমের সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে উন্নতি করেছেন তাঁরা।
‘পিএএনএস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ। গবেষকেরা বলছেন, অন্ধকারে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী রোবট, অস্ত্রোপচারে ও টেলিস্কোপে এ কৃত্রিম চোখ কাজে লাগানো যাবে। অন্ধকারে এর সাহায্যে দিনের মতো পরিষ্কার দেখা যাবে। তথ্যসূত্র: পিটিআই।

মহাশূন্যে হোটেল



মহাশূন্যে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে তাতে নভোচারীদের সাময়িক থাকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে আগেই। সেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) গত শনিবার প্রথমবারের মতো যুক্ত করা হয়েছে বাতাসে ফোলানো একটি কক্ষ। উদ্দেশ্য, সেখানে ভাসমান হোটেল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই। যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক বলছেন, তাঁদের প্রচেষ্টায় এটি এক বড় অগ্রগতি।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা ও বিগেলো অ্যারোস্পেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ওই ফোলানো কক্ষটি স্পেসএক্স রকেটযোগে আইএসএসে পাঠিয়েছে। এটি সেখানে থাকবে দুই বছর। এ সময়ের মধ্যে বিজ্ঞানীরা যাচাই করবেন এটা কতটুকু নিরাপদ, মহাশূন্যের নিয়ত পরিবর্তনশীল তাপমাত্রা এবং মহাজাগতিক বিকিরণে টিকে থাকতে পারবে কি না ইত্যাদি বিষয়।
বিজ্ঞানীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবিষ্যতে মহাশূন্যে ভ্রমণ ও অবস্থানের প্রবণতা বাড়বে। তখন সেখানে পর্যটকদের আনাগোনাও হবে নিয়মিত। আর তাঁদের আপ্যায়নের জন্য মহাশূন্যে নিশ্চয়ই অনেক হোটেলের প্রয়োজন পড়বে। এমনকি চাঁদ ও মঙ্গলে বসতি গড়তে গেলেও চাই এ ধরনের ভাসমান কক্ষ বা হোটেল। সেই লক্ষ্যেই বিগেলো এক্সপান্ডেবল অ্যাকটিভিটি মডিউল (বিইএএম) নামের কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে নাসা। আইএসএসে ভাসমান কক্ষ পাঠানোর ব্যাপারটি সেই উদ্যোগের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নাসার প্রশাসক চার্লস বোল্ডেন বলেছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আইএসএসের চেহারাই পাল্টে যাবে। আর সেখানে তৈরি হবে বহু লোকের থাকার পরিবেশ।
আইএসএসে নাসার প্রধান বিজ্ঞানী জুলি রবিনসনের মতে, বিইএএমের সম্প্রসারিত কক্ষটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একটি অনুকূল স্থান হবে আইএসএস। আশা করা যায়, মহাশূন্যে মানুষের সাময়িক বসবাসের সুবিধা বাড়াতে এ উদ্যোগ সফল হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে বিইএএমের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাজীব দাসগুপ্ত বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ, বিভিন্ন গ্রহাণু এবং মহাশূন্যের গভীরে অন্যান্য গন্তব্যে পরিভ্রমণকারীদের জন্য এ রকম ভাসমান কক্ষগুলো বিশেষ উপযোগী হবে। আর সম্প্রসারণ করা গেলে এগুলোতে অনেক জিনিস রেখে আসা যাবে। ফলে মহাশূন্য অভিযানে প্রতিবার বিপুল পরিমাণ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করার প্রয়োজন ফুরাবে। এতে রকেটে জায়গা যেমন কম লাগবে, অভিযানে অন্যান্য সুবিধাও বাড়বে।’

মেয়ের নামে ডোমেইন কিনলেন জাকারবার্গ



মেয়ে ম্যাক্সিমার নামে ডোমেইন কিনলেন মার্ক জাকারবার্গ। সম্প্রতি ভারতের কোচির অমল অগাস্টিন নামের এক যুবকের কাছ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলারে ‘ম্যাক্স চ্যান জাকারবার্গ ডটওআরজি’ নামের ডোমেইনটি কিনে নেন জাকারবার্গ।

২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর মার্ক জাকারবার্গ তাঁর মেয়ে ম্যাক্সিমা চ্যান জাকারবারর্গের (ম্যাক্স) জন্মের ঘোষণা দেওয়ার পর ওই ডোমেইন কিনে রাখেন অমল। অনলাইনে ডোমেইন কিনে রেখে পরে তা বেশি দামে বিক্রি করার এই ব্যবসাকে বলে ‘সাইবার স্কোয়াটিং’।

আইফোনের আয়ু তিন বছর



বিশ্বের সবকিছুরই একটা মেয়াদ আছে। প্রযুক্তি দুনিয়ার ক্ষেত্রেও এ কথাটি খাটে। সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল কর্তৃপক্ষ বলেছে, আইফোনে আয়ু বা মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন বছর। অ্যাপল ওয়াচের ক্ষেত্রেও তা-ই। তবে অ্যাপল টিভির মেয়াদ চার বছরের।
ফোর্বস ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অ্যাপলের পণ্যের কোন মডেল গ্রাহকেরা ব্যবহার করছেন, এর ভিত্তিতে ওই যন্ত্রটি কতটা শক্তি খরচ করছে তা বিবেচনায় ধরি আমরা। প্রতিটি পণ্যের ক্ষেত্রে দৈনিক ব্যবহারের হার নির্দিষ্ট করা থাকে। অ্যাপল পণ্যের মেয়াদকাল বিবেচনা করে পুরোনো পণ্যের জন্য নতুন অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ বা হার্ডওয়্যার উন্মুক্ত করা হয়।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সম্প্রতি বাজারে ছাড়া আইফোন এসই মডেলটি আইফোন ৫ এসের মতো হলেও আইওএস ৯-এর পরবর্তী তিন বছর আইওএস অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ পাওয়া যাবে। কিন্তু পুরোনো মেডলের আইফোন ৫ এসে সে হালনাগাদ পাওয়া যাবে না।

উড়লো বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী ড্রোন হেলিকপ্টার


এই প্রথম যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়লো ড্রোন হেলিকপ্টার। এই ড্রোনটির নাম ‘ভোলোকপ্টার ভিসি ২০০’। বিশালাকার এই ড্রোনটি ই-ভোলো কোম্পানির প্রথম ড্রোন হেলিকপ্টার। এই ড্রোনটির প্রথম উড্ডয়নে আরোহী ছিলেন, ই-ভোলো কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেক্সজেন্ডার জেসেল। এই ভোলোকপ্টারটিতে ১৮ টি পৃথক রোটর আছে। জয়স্টিকের সাহায্যে ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের জন্যও বাটন আছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জোসেল বলেন, ‘আপনি জয়স্টিকে হাত রেখে ড্রোনটি নিয়ে যেথায় খুশি সেথায় যেতে পারবেন। এটি আপনাকে নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করবে।’ এই ড্রোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবতরণ করা যায়। এজন্য এতে বাটন আছে। এই বাটন চেপে দিলে ড্রোনটি পাইলটের সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে ভূমিতে নেমে আসবে। দেখুন ভিডিওতে:


এবার অদৃশ্য ট্রেন আনছে জাপান



দ্রুতগতির বুলেট ট্রেনের ধারণা এখন
পুরোনো হয়ে গেছে। দুই বছর ধরে ঘণ্টায়
৫৮০ কিলোমিটার বেগে গোটা
জাপান চষে বেড়াচ্ছে বুলেট ট্রেন।
এখন সময় এসেছে নতুন প্রজন্মের
অত্যাধুনিক ট্রেনের। জাপানের ট্রেন
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেইবু রেলওয়ে
এবার এমন এক ট্রেন বানাতে চায়, যা
বাইরের দর্শকদের চোখে হবে
ভার্চ্যুয়ালি অদৃশ্য।

জাপানের স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান সানার
সহপ্রতিষ্ঠাতা স্থপতি কাজুও সেজিমা
নতুন এই ট্রেনটির নকশা করেছেন। তিনি
সম্প্রতি স্থাপত্যশিল্পের নোবেল
খ্যাত ‘প্রিৎজকার প্রাইজ’ পেয়েছেন।
ট্রেনটি যে সত্যিই পুরোপুরি অদৃশ্য হবে,
তা কিন্তু নয়। ট্রেনটি হবে সর্বোচ্চ
মাত্রার প্রতিফলনশীল। আসলে ট্রেনটি
এর অত্যন্ত প্রতিফলনশীল কাচের
দেয়ালগুলো দিয়ে আশপাশের সবকিছু
থেকে আগত আলোকরশ্মি প্রতিফলিত
করে আবার দর্শকের চোখেই ফিরিয়ে
দেবে। ফলে ট্রেনটিকে
আপাতদৃষ্টিতে অদৃশ্য বলে মনে হবে।
উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্থপতিদের প্রকল্পগুলোর
ভেতর এটি অনেক বেশি
প্রতিশ্রুতিশীল, কারণ বর্তমানে যে
ট্রেনগুলো লাইনে আছে তাতেই নতুন
এই নকশা প্রয়োগ করা যাবে। সেইবু
রেলওয়ের শততম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে
প্রতিষ্ঠানটি সেজিমাকে তাদের
রেড অ্যারো এক্সপ্রেস কমিউটার
ট্রেনকে ভেতরে-বাইরে নতুন করে
নকশা করার অনুমতি দিয়েছে। ২০১৮
সালে লাইনে সংযুক্ত হয়ে
জাপানজুড়ে ১৭৮ কিলোমিটারেরও
বেশি পথ অতিক্রম করবে ট্রেনটি।
তবে ট্রেনটির নকশার বিষয়ে এখনো
বিস্তারিতভাবে তেমন কিছু
জানানো হয়নি। কিছুটা ধারণা
দিয়েছে ডেজিন ম্যাগাজিন।

সাময়িকীটি জানিয়েছে, নতুন করে
গোটা ট্রেন না বানালেও চলবে।
বর্তমানে লাইনে আছে এমন ট্রেনের
বাইরের দিকে প্রায় স্বচ্ছ এবং কাচ
লাগানো পাত সংযুক্ত করে একে একটি
রুপালি বুলেট ট্রেনের রূপ দেওয়া হবে।
সূত্র: সায়েন্স অ্যালার

এবার অন্ধদের জন্য স্মার্টফোন !


এবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য আসছে স্মার্টফোন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের একদল গবেষক একটি টাচস্ক্রিন ট্যাবলেট আবিষ্কার করেছেন। এটি অন্ধরা ব্যবহার করতে পারবেন।
অন্ধদের জন্য স্মার্টফোন তৈরিতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ডিসপ্লে। সম্প্রতি সেই অসাধ্যা সাধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ওই গবেষকরা। 


দৃষ্টিশক্তি না থাকায় এতদিন শুধু ফিচার ফোন ব্যবহার করতেন অন্ধরা। এখন থেকে তারা স্মার্টফোনও ব্যবহার করতে পারবেন।
ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের অধ্যাপক সিলি ও মডরেইন, সহযোগী অধ্যাপক ব্রেন্ট গিলেস্পি এবং পিএইচডি শিক্ষার্থী আলেক্সান্ডার রুসোমান্নো একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। এ দিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা একটি ডিসপ্লের সম্পূর্ণ অংশ পড়তে পারবেন।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে মাইক্রোফ্লুইডিকস। সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে স্বল্প পরিমাণ তরল পদার্থ ও গ্যাস। টাচস্ক্রিনে স্পর্শ করে মাইক্রোফ্লুইডসের ওপর যে বাবলের সৃষ্টি হবে তা দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের দেখতে সহায়তা করবে।
মিশিগানের গবেষক দল আশা করছেন, কিছু দিনের মধ্যে এই ডিভাইসটি বাজারে পাওয়া যাবে।

যেসব স্থানে ভুলেও মোবাইল রাখবেন না



আমরা অনেকেই
মোবাইল ব্যবহার করি। যখন
যেখানে খুশি মোবাইল রেখে
দেই। তবে সব স্থানে মোবাইল
রাখা ঠিক নয়। চলুন পাঠক তাহলে
জেনে নেই যেস্ব স্থানে
মোবাইল রাখা ঠিক নয়।
১. প্যান্টের পিছনের পকেটে
পিছনের পকেটে রাখলে
হামেশাই বসে পড়েন তার উপর।
এতে মোবাইল এবং তার
ব্যাটারি দু’ইয়েরই ক্ষতি হয়। খুব
বেশি চাপ পড়লে ব্যাটারি
ফেটেও যেতে পারে।
২. ব্যাগের ভিতরে
অত্যধিক ঠান্ডায় ব্যাটারি খুব
জলদি ডাউন হয়ে যায়। তাই
ঠান্ডায় এটা করা যেতেই পারে।
ব্যাগের গভীরে জামা কাপডের
মধ্যে ঢুকিয়ে রাখলে অনেক ক্ষণ
ব্যাটারি সচল থাকে। কিন্তু
ভুলেও গরমে এটা করতে যাবেন
না। বেশি তাপে ব্যাটারি নষ্ট
হয়ে যায়।
৩. সমুদ্রের কাছাকাছি
বেড়াতে গেছেন উপভোগ তো
করবেনই কিন্তু একটু সামলে। আপনার
সব সময়ের সঙ্গী মোবাইল ফোনের
কথা ভুলবেন না। ভুলেও সমুদ্রের
কাছাকাছি ফোন নিয়ে যাবেন
না। প্রয়োজনে হোটলেই রেখে
আসুন। কারণ, আপনার ত্বকের মতোই
পোনও পুড়ে যায়।
৪. আগুনের কাছে রাখবেন না
আগুনের কাছাকাছি রাখলে
ফোন খারাপ হয়ে যেতে পারে।
গরমের জন্যই এটা হয়। রান্না করার
সময়টা ফোন নিজের থেকে একটু
দূরে রাখুন। হতে পারে কোনো
দুর্ঘটনা।

ধন্যবাদ